বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দিয়ে তাকে আইনের মুখোমুখি করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি ভারতের প্রতি আহ্বান জানান—বাংলাদেশের জনগণের বিপক্ষে অবস্থান না নিতে।
শনিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “ভারতকে বলবো—বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। জনগণ সেটা মেনে নেবে না। শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন এবং তাকে আইনের মুখোমুখি করুন।”
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম হয়েছিল, যেখানে ১৭০০ জনকে গুম ও ২০০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। “আমরা সেই দানবীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়েছি,” বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, “কিছু শক্তি এখনো ১৯৭১ সালের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে। তারা আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু ১৯৭১-ই আমাদের অস্তিত্ব ও পরিচয়ের উৎস—এটা কেউ মুছে দিতে পারবে না।”
বিএনপি বিভক্তি চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কিছু মহল পরিকল্পিতভাবে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনমুখী দল। “আমরা বলেছি—তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চাই। তবে কিছু মহল অপশক্তির মতো আচরণ করছে, যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়,” তিনি যোগ করেন।
তিনি জানান, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। “এতে জনগণের অর্থ সাশ্রয় হবে এবং প্রক্রিয়া সহজ হবে,” বলেন ফখরুল।