রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
আপডেটঃ
ভারতের কাছে মির্জা ফখরুলের দাবি—হাসিনাকে ফেরত দিন ইতালি সভাপতির বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন অপপ্রচার’: কেন্দ্রীয় কমিটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। ঝটিকা মিছিলের ‘অর্থদাতা’দের ধরবে পুলিশ: আ. লীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, ১০ মাসে মোট ৩ হাজার আটক ​টাকার বিনিময়ে ঢাকায় মিছিল! ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের মিছিলে ‘অবৈধতার’ অভিযোগ, ছাত্রদল-যুবদলের প্রতিবাদ মিছিল। মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় নিহত কালামের দুই সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা সফিকুর রহমান কিরণ। বিএনপি মহাসচিব: নির্বাচনের দিন ছাড়া গণভোট গ্রহণযোগ্য নয় গণভোট ইস্যুতে ফেসবুকে ‘হ্যাঁ-না’ বিতর্কে মুখর রাজনীতি শরীয়তপুর জেলার নিহত আবুল কালামের দুই শিশু সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন বিএনপির নেতা মেসেঞ্জার গ্রুপে জয়েন করলেই, ডিজেবল হয়ে যাচ্ছে ফেসবুক একাউন্ট! যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হাতিয়ায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি। 

ইরান, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র—তিন পক্ষেরই বিজয় দাবি

Coder Boss
  • Update Time : বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
  • ১৫৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:-

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সংঘর্ষের অবসান ঘটিয়ে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, তা বিশ্বকে স্বস্তি দিয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি এখন যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইসরায়েল—তিন পক্ষকেই বিজয়ের দাবি করার সুযোগ এনে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলতে পারে, তারা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা দুর্বল করে দিয়েছে; ইসরায়েল দাবি করতে পারে, তারা তেহরানকে যথেষ্টভাবে দুর্বল করেছে; আর ইরান গর্ব করে বলতে পারে, তারা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে এবং পিছু হটেনি।

আধুনিক যুদ্ধে দেশের ভেতরের জনমত গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, আর এই তিন দেশই এখন জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করছে—জয় তাদেরই হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরানবিষয়ক পরিচালক আলী ভায়েজ বলেন, এখন প্রতিটি পক্ষই নিজ নিজ বিজয়ের গল্প তৈরি করে নিয়েছে এবং একই সঙ্গে একটি বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি এড়িয়ে গেছে, যার মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারত পুরো অঞ্চলে, এমনকি বিশ্বব্যাপী।

অনেক দিন ধরে কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে কথা বলা যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ কৌশল বদলায় গত শনিবার। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের দস্যু’ বলে আখ্যা দিয়ে হুঁশিয়ারি দেন, যদি তেহরান শান্তির পথে না আসে, তবে পরবর্তী হামলা হবে আরও ভয়াবহ।

ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তবে ওয়াশিংটন জানত, সংঘাত কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।

ট্রাম্প বুঝতে পারেন, তেহরানের এমন একটা পথ দরকার, যাতে তারা উত্তেজনার পথ থেকে সরে আসতে পারে, আবার দেশের অভ্যন্তরীণ জনসমর্থনও না হারায়। এ কারণেই ইরান কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে হামলা চালানোর পর ট্রাম্প পাল্টা হামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ইরানকে আগাম সতর্কতার জন্য ধন্যবাদ দেন।

যুদ্ধের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে নিজ দেশেই বোমা হামলার সমালোচনার মুখে পড়া ট্রাম্প এখন নিজেকে শান্তিদূতের ভূমিকায় তুলে ধরতে পারছেন। এ সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সেনা হারায়নি, নিজেদের সামরিক শক্তি দেখিয়েছে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্বও দাবি করতে পারছে—এ যেন ট্রাম্পের জন্য কৃতিত্ব দাবির মোক্ষম সময় হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েলের আত্মগর্ব

যুক্তরাষ্ট্রের নিখুঁত বিমান হামলার আগের সপ্তাহেই ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে আকাশে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। তারা ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় এবং তেহরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে।

ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তি ও পরমাণুবিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে।

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অর্জন যুক্তরাষ্ট্রের এই সংঘাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে পড়া। যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে চালানো বিমান হামলা শুধু তেহরান নয়, পুরো বিশ্বকে এই বার্তা দিয়েছে যে ওয়াশিংটন নিরঙ্কুশভাবে তেলআবিবের পাশে আছে।

ভূরাজনৈতিকভাবে এই অবস্থান ইসরায়েলের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল করেছে, তেমনি দেশের অভ্যন্তরেও এর প্রভাব পড়বে। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য এটি এক বড় রাজনৈতিক লাভ এনে দিতে পারে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানে পরিচালিত সামরিক অভিযানের সব লক্ষ্য ইতিমধ্যে পূরণ হয়েছে।

ইরানের ‘প্রতিরোধ’ বার্তা

যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে চালানো বিমান হামলা তেহরানকে এক জটিল পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। প্রতিশোধ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে, কিন্তু প্রতিপক্ষ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। একদিকে মুখ রক্ষা, অন্যদিকে উত্তেজনা থেকে সরে আসার পথ—দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষা করতে হতো ইরানকে। ইরান সে পথেই হেঁটেছে।

ইরান আন্তর্জাতিকভাবে এমন এক ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছে, যেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে, মাথা নিচু করেনি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তাঁর দেশের বিরুদ্ধে চালানো যুদ্ধ মূল লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ‘আমি বলছি না যে তারা কোনো ক্ষতি করতে পারেনি—হ্যাঁ, কিছু ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু তারা আমাদের সব ধরনের সক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার বা অন্য যেকোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে, তা অর্জন করতে পারেনি।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
©ziacyberforce.com
themesba-lates1749691102